Thursday, Apr 25th

Last update09:04:19 PM GMT

: প্রথম পাতা জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে: রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

জাতিসংঘের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে: রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

E-mail Print PDF

স্টাফ রিপোর্টার: এবারে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শিক্ষা ও নারী অধিকার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সংস্থাটির সাধারণ অধিবেশন এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও প্রধানসহ প্রতিনিধিরা এরইমধ্যে এতে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এবার বাংলাদেশের ৯০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি এবং প্রায় ২০০ জনের ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনের বেশির ভাগ সময়জুড়েই আলোচনায় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন জানান, এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর গতবারের দেওয়া প্রস্তাবগুলোর পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাটি সমাধানকল্পে আমাদের মেইন যে স্টামব্লিং ব্লকস (প্রতিবন্ধকতা) আছে; মিয়ানমারের ভেতরে কনডিউসিভ এনভায়রনমেন্ট (অনুকূল পরিবেশ) তৈরি করা, সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো হয়তো থাকবে। আমরা এই যে কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার হিসেবে আরো কী কী দেখতে চাই সেগুলোও হয়তো থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (রোহিঙ্গা ইস্যুতে) বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ঘোষণা করছে টাইম টু টাইম।’ এ সময় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২৪ (সেপ্টেম্বর) তারিখ সকালবেলা ডোনাল্ড ট্রাম্প একাট বিশেষ মাদক নিরোধক সংক্রান্ত একটি বৈঠক করছেন, সেখানে বাংলাদেশ সহআয়োজক হিসেবে থাকবে। সেখানে যেহেতু উনারাই (যুক্তরাষ্ট্র) মেইন আয়োজক। সুতরাং সেখানে সৌজন্য হয়তো বিনিময় কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু এটি ছাড়া দ্বিপক্ষীয় ফরমাল কোনো মিটিং নাই। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। একই দিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের অধিবেশনে বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের বিতর্কে অংশ নেবেন তিনি। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক ছাড়বেন।

Share this post