স্টাফ রিপোর্টার: রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রষ্ট্রপক্ষে ছিলেন একরামুল হক টুটুল। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠান জোনায়েদ সাকি। নোটিশে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়। পরে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে। পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়টি ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব নোটিশ দিয়ে জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর দুটি বিধানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এছাড়াও গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ৯০ সি (১) (ই) এর সাথে গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১০ (চ) সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে আবেদনটি খারিজ করা হল। এদিকে নির্বাচন কমশনকে দেওয়া আইনি নোটিশে বলা হয়, গত ১৯ জুনের খারিজ আদেশটি বাতিল, প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামি সাত দিনের মধ্যে তা করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নোটিশের জবাব না পেয়েই রিট দায়ের করা হয়েছে। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়েই আদালত রুল জারি করেছে। এ আদেশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জোনায়েদ সাকি বলেন, নিবন্ধন পেলেও ঘোষিত তফসিল স্থগিত না হলে বা পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করলে দল হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণসংহতি আন্দোলন অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নিবন্ধন না পেলে বা তফসিল স্থগিত বা পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করলে জোটবদ্ধভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করবে গণসংহতি অন্দোলন। যদিও আগে প্রশ্ন আসে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।
< Prev | Next > |
---|