মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় দুই দিন বাড়ালো জাতীয় পার্টি

Print

স্টাফ রিপোর্টার: মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় আরও দু’দিন বাড়িয়েছে জাতীয় পার্টি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ নভেম্বরের পাশাপাশি ১৪ এবং ১৫ নভেম্বরও জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বনানী অফিস থেকে বিতরণ করা হবে। নতুন শিডিউল অনুযায়ী ১৬ নভেম্বর চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। গতকাল সোমাবার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে, এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের দুই শরিক দল বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার গতকাল সোমাবার দুপুরে বলেন, আমাদের লাঙ্গল প্রতীক নয়, তারা নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করবে। তিনি জানান, গত রোববার তারা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন। এম এ মান্নানের দল ইসলামি ফ্রন্ট ২০০৮ সালে ২০ নভেম্বর মোমবাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়। একই দিনে রিকশা প্রতীক নিয়ে নিবন্ধন পায় মাওলানা হাবিবুর রহমানের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল বলেন, আমরা নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের পক্ষ থেকে ও সম্মিলিত জোটের পক্ষ থেকেও নির্বাচন কমিশনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিনও নিজেদের প্রতীকে ভোট করার কথা বলেছেন। গত বছর ৫ মে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যোগ দেয় ইসলামি ফ্রন্ট। আর এ বছর ১১ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ‘ইসলাম রক্ষার ইমাম’ মেনে সম্মিলিত জাতীয় জোটে যোগ দেয় হাবিবুর রহমানের দল খেলাফতে মজলিস। সম্মিলিত জাতীয় জোটের সবচেয়ে বড় দল জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করবে, না ৩০০ আসনে নিজেরা প্রার্থী দেবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন হাওলাদার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টি গত ১১ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামি ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপরই জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করবে। মহাজোটে গেলে অথবা না গেলে সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে কীভাবে আসন ভাগাভাগি করবেন- এ প্রশ্নে হাওলাদার বলেন, আমরা ৩০০ আসনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন সম্পন্ন করব। তারপর আমরা জোটের শরিকদের সঙ্গে বসব। কতগুলো আসন তাদের সঙ্গে ভাগ করব, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আরো দেরি হবে। প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, যারা জনপ্রিয় এবং দেশ ও দশের মঙ্গলে অবদান রাখতে পারবে তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আগামি ৩০ ডিসেম্বর। তার আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

Share this post