Tuesday, Apr 30th

Last update09:04:19 PM GMT

: সম্পাদকীয় রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত নয়, জনগণ চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ

রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত নয়, জনগণ চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ

E-mail Print PDF

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দেশের রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। আজও রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতেও আগুন ঝড়ছে। মনে হচ্ছে নির্বাচনের বছরে এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলো-রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথেই সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালায়। এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিদেশি অতিথি কিংবা পর্যবেক্ষকেরা এসে নির্বাচন নিয়ে যতই সুপরামর্শ দিয়ে যান না কেন, আমাদের রাজনীতি চলছে সেই গতানুগতিক ধারায়।
নেতারা মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও তাদের আচরণে উল্টোটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলোনিত্য যানজটের শহরে বিএনপি-ঘোষিত পদযাত্রার দিন আওয়ামী লীগও প্রায় অনুরূপ কর্মসূচি দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেই সভা-সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলা কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় কি না, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। কেননা এ ধরনের কর্মসূচি দেশের অর্থনীতিকে যেমন ধ্বংস করে, তেমনি জনগণের ভোগান্তি বাড়ায়। এর ফলে কেবল ওই সমাবেশে আগত যাত্রী নয়, সাধারণ নারী-পুরুষ ও শিশুরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
আমাদের রাজনীতি দু’পক্ষের প্রতিই আহŸান থাকবে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি থেকে বিরত থাকুন। আর যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের দ্বারা কর্মসূচির নামে এভাবে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানো মানায় না। ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করাই উত্তম। অতীতে আলোচনায় সমাধান হয়নি বলে রাস্তায় মারামারি-হানাহানি করতে হবে, এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। তাই রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি না দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।রাজনীতির মাঠ যতই উত্তপ্ত হোক না কেন, সাধারণ জনগণ চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। একইভাবে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ হয়-এমনটাই সাধারণ মানুষের দাবি।

Share this post