Saturday, May 18th

Last update09:04:19 PM GMT

: শেষের পাতা নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি

নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি

E-mail Print PDF

এফএনএস: নাগরিকদের তথ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে হয় এ মানববন্ধন। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। এসময় বক্তারা বলেন, ৯ জুলাই দেশের সবকটি গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম ছিল লাখ লাখ, বা পাঁচ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁস শিরোনাম। এসব প্রতিবেদনে বলা হয় সরকারি সেবাদানকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম-ঠিকানা, মেইল, ফোন নম্বর, পিতা-মাতার নাম ও ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে নাগরিকদের মনে। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং তথ্য হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহালের ঘটনা অহরহ ঘটছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা গ্রহণকারী সাধারণ গ্রাহকরা সবচাইতে বেশি ভোগান্তিতে। অথচ আমাদের সংবিধানের ৪৩ এর (খ) ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিঠি ও যোগাযোগের অন্যান্য তথ্য গোপন রাখার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারেও বলা হয়েছে গ্রাহকের বা নাগরিকের তথ্য গোপন রাখতে হবে। এমনকি তথ্য ফাঁস বা হ্যাকিং হলে তা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিককে সচেতন করার জন্য অবগত করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অথচ দুঃখের বিষয় গত ২৭ জুন ভিক্টর মার্কপুলাস নামের একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সার্টকে অবগত করে। সার্টের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিকদের বিষয়টি অবগত করা। কিন্তু তারা বিষয়টি জনগণের কাছে গোপন রেখেছে। বক্তারা আরও বলেন, পরবর্তীতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দায়িত্ব অবহেলা কিংবা জড়িত থাকা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে গাফিলতি থাকার কারণে আমরা ভেবেছিলাম প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এবং ঘটনায় জড়িত থাকা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে সরকার। কিন্তু শাস্তির বদলে উল্টো তাদের সাড়ে ৫শ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমরা চাই নিরাপত্তার পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মোবাইল ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতিমÐলীর সদস্য বাচ্চু, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ফুল পাখি নদী সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ।

Share this post